কিভাবে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা যায়
জীবনে উন্নতি করতে হলে কোন পথে চলতে হবে
বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় :
১৭-০৮-২০২৩ ০৫:৩৮:৪৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৭-০৮-২০২৩ ০৫:৩৮:৪৭ অপরাহ্ন
ফাইল ছবি :
জীবনে উন্নতি করতে হলে কোন পথে চলতে হবে
আগেকার মানুষ কাজ বেশি করতো তাই তারা শারীরিক ভাবো শক্ত ছিলো।এখনকার মানুষ কাজ কম করে তাই তারা তুলনা মূলক ভাবে দূর্বল বা অসুস্থ বেশি হয়। আপনি ও সময় বাহির করে কাজ করুন। প্রতিদিন ১ ঘন্টা করে হাঁটতে চেষ্টা করুণ। বাড়ির কাজ করুন, নিজের কাজ নিজে করতে দ্বিধা বোধ করবেন না।
কিভাবে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা যায় এই নিয়ে কিছু প্যারা আকারে সাজানো হলো। আপনি চাইলে এগুলো ফলো করতে পারেন।
১. প্রতিদিন ব্যায়াম এর মাধ্যেমে লাইফস্টাইল পরিবর্তন!
আমরা কোন কিছুর পরিবর্তন করতে ব্যায়ামের মধ্যে দিয়ে শুরু করতে পারি।আমাদের উচিত প্রতিদিন ব্যায়াম করা ৩০-৪৫ মিনিট পর্যন্ত। ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরে হরমোন সৃষ্টি হতে থাকে। যা শরীরকে ভালো এবং সুস্থ দুটোই রাখে। মন ভালো থাকলো সব কিছু ভালো লাগে আমাদের।
ব্যায়াম করা
যদি প্রতিদিন ব্যায়াম করা যায় তাহলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আপনার শরীরে হরমোন এর পরিবর্তন হবে বিভিন্ন রকম রোগ জীবাণু বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবে।সারাদিন এর ক্লান্ত ও কিন্তু দূর করে দেয় এই ৩০-৪৫ মিনিট ব্যায়াম করার ফলে। কমেন্ট এর মধ্যে জানাতে পারেন আপনি কখন থেকে ব্যায়াম শুরু করবেন।
২. রুটিন তৈরি করা!
যাই করবেন রুটিন তৈরি করে করবেন। আজকে বিল গেটস, ইলন মাস্ক কি করে সফল হয়েছে তারা তাদের রুটিন ফলো করতো নিয়মিত। আপনি যদি বই পড়েন বা খাবার খাবেন এটার জন্য ও কিন্তু একটা রুটিন করা অত্যন্ত জরুরি। আমরা কোন কিছু পরিবর্তন করতে পারি না তার মূল কারণ হলো আমাদের রুটিন ঠিক থাকে না।
আমরা সময়ের কাজ সময় মতো করতে পারি না কারণ আমাদের কাছে তো রুটিনই নাই। একবার ভেবে দেখুন তো একটা স্কুলে ক্লাস হচ্ছে সেখানে যদি কোন সময়ে কোন ক্লাস হচ্ছে বা হবে সেটা নির্ধারণ না থাকে তাহলে কেমন হবে। কেমন হবে এই স্কুলে। বাংলা ক্লাসের সময়, অংকের টিচার এসে ক্লাস করাবে দেখতে কেমন যেমন না। আমাদের প্রতিটা কাজের জন্য একটা করে রুটিন প্রয়োজন হয়।
রুটিন তৈরি করা
রুটিন মাফিক কাজ করার ফলে আপনার কাজের অগ্রগতি কতটা হচ্ছে সেটা আপনি লক্ষ্য করতে পারবেন।বুঝতে পারবেন নিজের অগ্রগতি। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বুঝতে পারবেন কি কি ঘাটতি আছে, কি কি পরিবর্তন করতে হবে আপনার।
৩. সময় মতো ঘুমানো!
আমাদের ক্লান্ত দূর করার জন্য আমাদের ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। যদি ভালো ঘুম দিতে চান অযতা চিন্তা করবেন না।অযতা চিন্তা ফলে নিজের অনেক ক্ষতি হয়। নিজের ক্ষতি কখনো করা উচিত না। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে পারলে সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠেতে পারবেন।
দেরীতে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। যদি অভ্যাস পরিবর্তন করতে না পারেন। তাহলো ১০ সেকেন্ড একটা রুলস আছে সেটা ফলো করুন। ১০ সেকেন্ড রুলস ফলো করুন সব জায়গাতে। আপনি যদি সিদ্ধান্ত নেন আমি এখন ঘুমাবো তাহলো ১০ সেকেন্ড এটা নিয়ে চিন্তা করে ঘুমাতো চলে যান।
শরীরে অলস ও ক্লান্তি ভাব থাকবে তার জন্য আপনাকে সময় মতো ঘুমাতে হবে।
আপনি যদি কিছুদিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার চেষ্টা করেন তাহলে দেখবেন আপনার জীবনে অনেক কিছু পরিবর্তন আসতে শুরু হবে।
৪. সময় অপচয়!
সময় অপচয় বন্ধ করতে হবে। আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় দিয়ে থাকোন তাহলে এখান থেকে আপনার বাহির হতে হবে। সময় অনেক মূল্যবান জিনিস একবার চলে গেলে সহজে আপনার কাছে ধরা দিবে না। ফেসবুক, টুইটার,হোয়াটসঅ্যাপ আমাদের জীবন কে সহজ করে তুলেছে এটা ঠিক।
তবে এগুলো জন্য আমাদের অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে এগুলো আমরা নিজেরাও বুঝতে পারতেছি না।খুবই কম সময়ের জন্য ফেসবুক ব্যবহার করা উচিত।
সময় অপচয়
৫. মোবাইল ফোন!
আপনার হাতে থাকা ফোনটি আপনার জীবনে অনেক কিছু কেড়ে নিচ্ছে বা নিবে। মানুষ প্রতিদিন গড়ে ৪ ঘন্টা করে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকে। আপনি একটু লক্ষ্য করে দেখুন আপনার মূল্যবান সময় যদি এসবের পিছনে ব্যায় করেন তাহলে আপনার কতগুলো সময় নষ্ট হচ্ছে প্রতিমাসে। এই সময় আপনি অন্য কোথাও ব্যবহার করলে আপনার কতটা উপকার হতো একটু ভেবে দেখুন।
৬. ব্লগ পড়া!
আপনি বই পড়েও বিভিন্ন জ্ঞান আহরণ করতে পারবেন। তবে বিভিন্ন ব্লগ পড়ার মধ্যে আপনি নতুন কিছু না কিছু জানতে পারবেন। ব্লগ পড়লে আপনার জ্ঞান সীমিত থাকবে না, আপনার জ্ঞান বা নলেজ বাড়তেই থাকবে। এই ওয়েবসাইট এর বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট আপনাকে অনেক কিছু শেখাতে সাহায্য করবে। নতুন কিছু জানতে চান বা পড়তে চান তাহলে এই ওয়েবসাইটটি আপনার জন্য বেস্ট একটা রিসোর্স হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin
কমেন্ট বক্স